বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বাউফলে বিএনপি নেতার বাসভবন থেকে টিসিবির পণ্য উদ্ধার কলাপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর, হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন নুরুন্নাহার কেয়া কলাপাড়ায় মরা খালে দখলদারের ছোবল বরিশালে বেলতলা খেয়াঘাটের ইজারা বাতিলের দাবিতে চরমোনাইতে মানববন্ধন বরিশালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর উদ্দ্যাগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কলাপাড়া বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কলাপাড়ায় ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত বৃদ্ধের মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পটুয়াখালীর গলাচিপায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অবৈধ দুটি ইটভাটা বাউফল কলেজ শাখা ছাত্রদলের, বিচারহীনতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কলাপাড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই যুবক আটক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী গ্রেফতার বনশ্রী স্বর্ণ ডাকাতি মামলায় বাউফলের দুই সোনার ছেলে গ্রেফতার অবশেষে আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের ৯ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান
কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র জালিয়াতি করে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ

কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র জালিয়াতি করে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ

Sharing is caring!

পটুয়াখালি প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধার কাগজ পত্র জালিয়াতি করে ভুয়া নামে ভাতা উত্তোলন করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী লাইলির স্বামী শ্রমজীবী শহিদুল ইসলাম।

অভিযোগে বলেন তার বাবা হাফিজুর রহমান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী গ্রামে তাদের বাড়ি। হাফিজুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের গেজেট নম্বর ৭২৭ ও সনদপত্র নম্বর ১৫০৮৬৪। গেজেট বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর ৭১৯০, তারিখ ৮-১১-২০০৪। জীবদ্দশায় ২০০৭ সাল থেকে তিনি নিয়মিত ভাতা তুলে আসছিলেন। ভাতার বই নম্বর ৩১/বি। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভাতা তুলেছেন। একটি মামলায় হাজতে থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান ২০১২ সালের ৬ আগস্ট মারা যান, হাজতী নম্বর ৯১২/১২। এরপরেই শুরু হয় জালিয়াতি।

সংবাদ সম্মেলনে লাইলির লিখিত অভিযোগ, কলাপাড়া উপজেলা ও পটুয়াখালী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের একটি চক্রের যোগসাজশে তার বাবার নামে নাম বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মাতুব্বরের ছেলে হাফিজুর রহমান মাতুব্বর ভুয়া কাগজপত্র বানায়। লাইলির বাবার গেজেট নম্বর এবং ভাতার বইয়ের সবকিছু ঠিকানাসহ অবিকল রেখে এখন পর্যন্ত কলাপাড়া থেকে মুক্তিযোদ্ধার সকল ভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার সন্তানদের স্কুল ও পুলিশে চাকরি দিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, তিনি বহুবার বিষয়টি নিয়ে আমতলীতে গিয়েছেন। কোন সমাধান তো দুরের কথা। উল্টো ধমক দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। লাইলি তার বাবার নামের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ফিরে পাওয়া এবং জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন। বহুবার কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান লাইলি। বর্তমানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লাইলি তার শ্রমজীবী স্বামীকে নিয়ে অর্ধাহার-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি প্রতিকার চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ বিষয়ে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, মৃত হাফিজুর রহমান জীবিত থাকাকালে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নামের ভাতার বই খুলে ভাতা তুলেছেন। বিষয়টি তদন্তে ধরা পড়ায় ঠিক করে তার নামে (প্রকৃত হাফিজুর রহমান) বই খুলে ভাতাদি দেয়া শুরু করে। তিনি বরং ২০০৭ সাল থেকে ১২ সাল পর্যন্ত ভাতাদি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এমন পাল্টাঅভিযোগ তুলেছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD